1. আজ ১৬ই আগস্ট। ১৯৪৬ এ গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং শুরু হয়েছিল আজকের দিনে। 'ডায়রেক্ট অ্যাকশন'এর ডাক দিয়েছিলেন জিন্নাহ।সেই ডায়রেক্ট অ্যাকশন যাতে নির্বিঘ্নে সুসম্পন্ন হতে পারে,তার জন্য পুলিশ ও মিলিটারিকে নিষ্ক্রিয় করে দিয়েছিলেন বেঙ্গল প্রভিন্সের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সোহরাওয়ার্দী।
2. এমত হিন্দুনিধন-যজ্ঞ পণ্ড করতে ক্ষাত্রধর্ম পালন করেছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায় ওরফে গোপাল পাঁঠা।
Btw, সোহরাওয়ার্দীর নামে কিন্তু আজও একটি রাস্তা আছে কলকাতায়। সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউ।কিন্তু এমন একজন কুখ্যাত bigot এর পদবীতে কলকাতার একটি রাস্তার নামকরণ কারা করেছিল বলুন তো? বামেরা?
Btw, সোহরাওয়ার্দীর নামে কিন্তু আজও একটি রাস্তা আছে কলকাতায়। সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউ।কিন্তু এমন একজন কুখ্যাত bigot এর পদবীতে কলকাতার একটি রাস্তার নামকরণ কারা করেছিল বলুন তো? বামেরা?
3. এই বিষয়ে স্বরাজ্য ম্যাগাজিনে প্রতিবাদ করে আর্টিকল লেখেন জয়দীপ মজুমদার। তখন ইণ্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ন্যাশনাল হেরাল্ডের মত সংবাদমাধ্যমগুলি সমস্বরে বলে যে কলকাতার সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউ Butcher of Bengal সোহরাওয়ার্দীর নামানুসারে নয়, বরং তার কাকা
4. Sir হাসান সোহরাওয়ার্দীর নামে, যিনি ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।উক্ত সংবাদমাধ্যমগুলি এ-ও জানায় যে সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউ নাকি ১৯৪০সালের আগে থেকেই exist করত। যদিও ব্যক্তিগতভাবে আমার মনে হয়েছে যে এইসমস্ত যুক্তি,প্রতিযুক্তিগুলি সবই পরবর্তীকালে বামপন্থী air brushing,
5. তবুও, এইসকল আর্গিউমেন্টস্ শোনার পর প্রশ্ন একটাই। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই যে সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউ স্যর হাসান সোহরাওয়ার্দীর নামে, বুচার অফ বেঙ্গল সোহরাওয়ার্দীর নামে নয়, তবুও সোহরাওয়ার্দী পদবীটি ১৯৪৬ এর পরে যে ভাবে কলঙ্কিত হয়েছে, তার পর কলকাতা শহরে সেই পদবী অনুসারে
6. কোনো রাস্তা বা কোনো কিছুই কি থাকা উচিত? মানবিক যুক্তি কি বলে? ভাইপোর পাপ কি কাকার পুণ্যকে ছাপিয়ে যায় নি?
স্যর হাসান সোহরাওয়ার্দীকে বিন্দুমাত্র ছোট না করেও প্রশ্ন করতে বাধ্য হচ্ছি যে তাঁর সমতুল্য গুণী মানুষ কি সমকালীন বেঙ্গল প্রভিন্সের মুসলিমদের মধ্যে অন্য কেউ ছিলেন না?
স্যর হাসান সোহরাওয়ার্দীকে বিন্দুমাত্র ছোট না করেও প্রশ্ন করতে বাধ্য হচ্ছি যে তাঁর সমতুল্য গুণী মানুষ কি সমকালীন বেঙ্গল প্রভিন্সের মুসলিমদের মধ্যে অন্য কেউ ছিলেন না?
7. যদি থেকে থাকেন,তবে অবিলম্বে সোহরাওয়ার্দী অ্যাভিনিউয়ের নাম পরিবর্তন করে অন্য কোনো গুণী মুসলিম মানুষের নামে রাখা হোক।সোহরাওয়ার্দী পদবীটিকে সম্পূর্ণ বর্জন করার মানবিক কারণ পশ্চিমবঙ্গ তথা কলকাতার হিন্দুদের আছে।ভাইপোর রক্তমাখা হাতের স্পর্শে কাকার পুণ্য ইতিমধ্যেই রক্তাক্ত হয়েছে।